প্রিয় আজিজ বোর্ডিং
স্টেজের চারদিকে বিশাল জনস্রোতের বিক্ষুব্ধ চিৎকার, জনতার গলা চিরে বেরিয়ে আসছে এক নাম!! একটু পর তিনি আসবেন...... প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তিনি এলেন, পরনে কালো পাঞ্জাবী আর কোকড়ানো লম্বা চুল নিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে ঝুঁকলেন আর বললেন "আমি এসে গেছি , তোরা শান্ত হয়ে যা!!!" এক কথায় যেন বিদ্যুত খেলে গেল জনস্রোতে, কিসের শান্ত হওয়া! আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে চলল সবাই । এবার তিনি গিটার এ মন দিলেন, গিটার এর মৃদু জ্যামিং যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে দিল সবার শরীরে,তারপর একের পর এক গেয়ে চললেন কালজয়ী সব গান। কখনো নিজে গাইছেন, কখনো শ্রোতাদের দিয়ে গাওয়াচ্ছেন, আবার কখনও একসাথে চলল গান, গানের মায়ায় বেধে দিলেন ছোট বড় সবাইকে। নাম তাঁর.....জেমস, কেউ ডাকেন গুরু , কেউ নগর বাউল......তবে সবার কাছে তিনি এক উন্মাদনার নাম! এক পাগলামীর নাম!!
পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। জন্ম নওগাঁর পত্নীতলায় হলেও খুব বেশিদিন সেখানে থাকার সুযোগ হয় নি। বাবা ছিলেন সরকারী কর্মচারী। বাবার চাকরীর সুবাদে চলে এলেন চট্টগ্রামে। বাবা তখন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। ছেলেকে নিয়ে অনেক আশা তাঁর। ছেলে পড়াশুনা করবে, বড় নাম করবে! তবে ছেলের মন অন্যদিকে। পড়ার বই ছেড়ে গান বাজনায় মজে থাকত সারাদিন। ছেলে গান বাজনা করবে এটা ছিল পরিবারে ঘোর অপছন্দ। ফলাফল পরিবারের সাথে মনোমালিন্য, নাইনে পড়া অবস্থায় বেরিয়ে আসেন ঘর থেকে। শুরু করেন সংগ্রামী জীবনে টিকে থাকার লড়াই। ঠাঁই হয় চট্টগ্রামের পাঠানটুলির আজিজ বোর্ডিং এর বারো বাই বারো ফুটের ছোট এক কামরায়।সারাদিন বন্ধুদের সাথে ক্যাসেট প্লেয়ার এ চলে একের পর এক গানের রেকর্ডিং । বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তোলেন গানের দল। সামনের এক সস্তা হোটেল এ সারতেন খাওয়া দাওয়া, আর রাতে চলে যেতেন আগ্রাবাদ হোটেলে, সারারাত বাজাতেন নাইট ক্লাবে। এভাবেই কেটে গেল বেশ কটি দিন। ততদিনে পেয়েছেন কিছু নামডাক। ১৯৮০ সালের দিকে নিজের হাতে গড়লেন স্বপ্নের ব্যান্ড, নাম দিলেন ফিলিংস! ফিলিংসের প্রথম দিককার সদস্যরা ছিলেন ফান্টি(ড্রামস), স্বপন (বেস গিটার), প্যাবলো( ভোকাল ও পিয়ানো বাদক)। প্রথম দিকে জিম মরিসন, মার্ক নাফলার, এরিক ক্লাপটনের গাওয়া বিখ্যাত গানগুলোর কভার করতেন। বাংলা ভাষায় জেমসই প্রথম সাইকিডেলিক রক গানের সুচনা করেন। জেমসের গান সুরের চেয়ে বেশি নির্ভর করত গানের কথায়।
"ছোট্ট একটি ঘর, ছোট্ট একটি খাট,
ছোট্ট একটি টেবিল, একটি পানির জাগ।।
ছিলো এক চিলতে আকাশ আমার
আর সেই প্রিয় গীটার,
রুম নাম্বার ছত্রিশে ছিলো আমার বসবাস;
প্রিয় আজিজ বোর্ডিং। প্রিয় আজিজ বোর্ডিং।
ছিলো ব্যাচেলার সংসার আমার,
ছিলো অগোছালো জীবন আমার"
ছোট্ট একটি টেবিল, একটি পানির জাগ।।
ছিলো এক চিলতে আকাশ আমার
আর সেই প্রিয় গীটার,
রুম নাম্বার ছত্রিশে ছিলো আমার বসবাস;
প্রিয় আজিজ বোর্ডিং। প্রিয় আজিজ বোর্ডিং।
ছিলো ব্যাচেলার সংসার আমার,
ছিলো অগোছালো জীবন আমার"
চট্টগ্রাম এ সংগীত জীবন শুরু করলেও ভালো কিছু করার তাড়নায় একসময় ছাড়েন প্রিয় চট্টগ্রামকে। স্বপন ও প্যাবলো ফিলিংস থেকে বিদায় নেয়ার পর একমাত্র ফান্টিকে নিয়ে জেমস ১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে চলে আসেন ঢাকায়। নতুন ভাবে ফিলিংসের সাথে যুক্ত হন বেসবাদক আওরঙ্গজেব বাবু ও কীবোর্ড বাদক তানভীর। তাদেরকে নিয়ে শুরু হয় ফিলিংসের নতুন পথচলা। ফিলিংসের সাথে পরবর্তীতে যুক্ত হন অর্থহীন ব্যান্ডের বেজবাবা সুমন। নতুন ব্যান্ড, নতুন ধারার গান নিয়ে ১৯৮৭ সালে ফিলিংস বাজারে আনে তাদের প্রথম এ্যালবাম ,'স্টেশন রোড' । বানিজ্যিকভাবে খুব একটা সফল না হলেও অালবােমর গান 'ঝরনা থেক নদী', 'স্টেশন রোড', 'আমায় যেত দাও', 'রূপ সাগের ঝলক', সত্যই সুন্দর মানুষের মনে দাগ কেটে দেয়।
"স্টেশন রোডের জীবন ধারা
ফুটপাথের ঐ নগর নটিরা
ভাতের আশায় দিচ্ছে শরীর
যেন ত্রিমাত্রিক জীবন্ত ছবি"
১৯৮৮ সালে জেমস বের করলেন তার প্রথম একক এ্যালবাম 'অনন্যা' । অনন্যা দিয়েই বাজিমাত , সেই সময়ে অনন্যা যারা শুনেছেন তারা আজকের জেমসের সাথে তখনকার জেমসকে মেলাতে পারবেন না। এ্যালবামের প্রতিটি গানই ছিল অসাধারণ । বিশেষ করে 'অনন্যা' 'ওই দূর পাহাড়ে' গানগুলো বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয় সবার। জেমসের অদ্ভুত গায়কি ও সুরে মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে সবাই। ১৯৯১ সালে ফিলিংস বাজারে ছাড়ে তার দ্বিতীয় এ্যালবাম ' .জেল থেকে বলছি' যাতে ফুটে ওঠে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত এক আসামীর করুন আর্তনাদ ।
"দিন রাত এখানে থমকে গেছে
কনডেম সেলের পাঁথর দেয়ালে
প্রতি নিঃশ্বাসে মৃত্যুর দিন আমি গুনছি।।
শোনো, জেল থেকে আমি বলছি"
শাহবাগের কোন এক পড়ন্ত বিকেল। রোজ সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার চা পরোটার দোকান গুলোর সামনে জমে সংগীতপ্রিয় তরুণদের আড্ডা। এক সন্ধ্যায় হঠাত চার চাকার এক গাড়ি এসে থামল আড্ডার সামনে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন জেমস! তরুণদের চোখে মুখে অবিশ্বাস!! সবাইকে ঘোরে রেখে চেয়ার টেনে বসে গেলেন আর বললেন ,"বারে বাহ... গা... প্রান খুলে গা..." । গুরুর মুখে এমন কথা শোনার পর আর দেরী হয় না কারো। ঘোর কাটিয়ে শুরু হয়ে যায় গিটারের ঝনঝনানি। গুরু তখন আর গায়ক নন , মুগ্ধ এক শ্রোতা। এমনই পাগলাটে স্বভাবের জন্য ধীরে ধীরে সবার আত্মায় মিশে যেতে থাকেন জেমস। জেমস মানেই পাগলামি, জেমস মানেই উন্মাদনা।!!!
তুমুল জনপ্রিয়তার মাঝে ১৯৯৫ সালে মুক্তি দেন নিজের দ্বিতীয় একক এ্যালবাম 'পালাবে কোথায়' । বাংলাদেশের সংগীতাংগনে তখন যেন নতুন এক যুগের সুচনা হয়, জেমসীয় যুগ। এ্যালবামের 'প্রিয় আকাশী', 'সাদা অ্যাশট্রে', 'ভালবাসার যৌথ খামার' নতুন ভাবে চেনায় গুরুর গানকে। জেমসের অদ্ভুত গায়কির জন্য তাঁর জন্য আলাদা করে গান লিখতেন লতিফুল ইসলাম শিবলী, বাপ্পি খান, আসাদ দেহলভি, আনন্দ, তরুন, মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ লায়ন, প্রিন্স মাহমুদ ও রনিম দের মত গীতিকাররা।
"প্রিয় আকাশী,
গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পেয়েছি
ঠিকানা লেখনি,
ঠিকানা পেলে কোথায় তা লেখনি
ঠিকানা পেলে কোথায় লেখনি"
"প্রিয় আকাশী,
গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পেয়েছি
ঠিকানা লেখনি,
ঠিকানা পেলে কোথায় তা লেখনি
ঠিকানা পেলে কোথায় লেখনি"
৯৬ সালের দিকে হঠাত করেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় জেমস ও জেমসের গায়কি নিয়ে। তবে সমালোচক দের জবাব দিতে খুব একটা সময় নেন নি, বের করলেন ফিলিংসের তৃতীয় এ্যালবাম 'নগর বাউল'। সমালোচকদের মুখে ছুড়ে মারেন 'মান্নান মিয়ার তিতাস মলম' গানটি, এই এ্যালবামের অন্য একটি কালজয়ী গান ছিল 'তারায় তারায়" গানটি । কবি শামসুর রাহমানের লেখা 'সুন্দরীতমা আমার' কবিতাটিকে অনুমতি নিয়ে গানে রুপান্তর করেন জেমস। অদ্ভুত সুন্দর এই গানটিতে ফুটিয়ে তোলা হয় ব্যর্থ প্রমিকের তারাভরা রাতের করুণ আর্তনাদ। সেসময় পাড়ার অলিতে গলিতে সবার মুখে মুখে ঘুরত গানটি.
"সুন্দরীতমা আমার
তুমি নিলীমার দিকে তাকিয়ে বলতে পারো
এই আকাশ আমার।
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখো
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বলো আমি একান্ত তোমার,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।"
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
মানুষ আমি চেয়ে দেখো
নীলাকাশ রবে নিরুত্তর
যদি তুমি বলো আমি একান্ত তোমার,
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার
আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো আমি তোমার।"
জেমসই একমাত্র যিনি তার শ্রোতাদের বানিয়েছেন নিজের ভাই , বন্ধু।
"আমি তোমাদেরই লোক, আমি তোমাদেরই ভাই, আমার আর কিছু নাই, কেহ নাই..." সত্যিই শ্রোতাদের চেয়ে আর আপন কেউ ছিলনা তাঁর। কিশোর বয়সের ঘর ছাড়া জেমস একসময় ভালবেসে বিয়ে করেন মডেল রথিকে তবে ব্যক্তিগত টানাপোড়েনে একসময় ইতি টানেন সেই সম্পর্কের, পরবর্তীতে বিয়ে করেন বেনজির সাজ্জাদকে। তাই শ্রোতাদেরই আপন করে নিতেন সবসময়।
১৯৯৭ সালে বাজারে আসে তৃতীয় একক এ্যালবাম 'দুঃখিনী দুঃখ করো না'। এ্যালবামের 'দুঃখিনী দুঃখ করো না', 'বিবাগী', 'লুটপাট' গানগুলো ঘুরে ফিরতে থাকে তরুনদের মুখে মুখে। সত্যি বাংলা গানের বড় স্বর্ণ সময় ছিল তখন।
"নিশাচর স্বপনে
আততায়ী ভালবাসা
ভবঘুরে এই মন
তোমাকে কাছে টেনে নেবে।
এই চোখে তাকিও না
লুটপাট হয়ে যাবে"
১৯৯৮ সালে লেইস ফিতা লেইস এ্যালবামের পর ইতি ঘটল ব্যান্ডের ফিলিংস নামের।নতুন নাম দেয়া হয় নগর বাউল। ফিলিংসের সোনালী অতীতকে স্মরণ করে বের করা হয় "কালেকশন অফ ফিলিংস"। নগর বাউলের ব্যানার থেকে আসে দুষ্ট ছেলের দল(২০০১), কালযমুনা( ২০০৮) এ্যালবাম গুলো। আর মাঝে বের হয় জেমসের আরো তিনটি একক এ্যালবাম আমি তোমাদেরই লোক(২০০৩), জনতা এক্সপ্রেস(২০০৫), তুফান(২০০৬)। 'হোমায়রার নিঃশ্বাস' 'লেইস ফিতা লেইস' 'সিনায় সিনায়' মীরাবাঈ' 'পত্র দিও' দুষ্ট ছেলের দল" 'দিদিমণি' 'কাল যমুনা' 'লিখতে পারি না কোন গান' 'ফুল নেবে না অস্রু' 'পদ্মপাতার জল' গানগুলো পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
"কবিতা,
তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবরনিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায়ভেবোনা সুখের মোহনা।
দেখবে আমাদেরভালবাসা
হয়ে গেছে কখনযেন
পদ্ম পাতার জল।"
২০০৫ সালে হঠাত করেই ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী প্রিতমের সাথে মিলে প্লেব্যাক করেন বলিউডের 'গ্যাংস্টার' নামক একটি চলচ্চিত্রে। তার গাওয়া "ভিগি ভিগি' গানটি প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় জুড়ে জায়গা করে নেয় টপচার্টে। ২০০৬ সালে কন্ঠ দেন 'ও লামহে' নামক চলচ্চিত্রে “চল চলে” গানটিতে। ২০০৭ সালে তিনি 'লাইফ ইন এ মেট্রো' চলচ্চিত্রে আবারও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুটি হল "রিশতে" এবং "আলবিদা"(রিপ্রাইস)।মাত্র কয়েকটি গান দিয়েই জয় করেন বলিউড।
এরপর কেটে গেল অনেকটা সময়। উন্মত্ত, পাগলাটে সেই জেমস এখন অনেকটাই শান্ত। নিজের মত থাকেন। তবে কনসার্ট চলছে অবিরাম। পহেলা বৈশাখ, নিউ ইয়ার কিংবা মাদক বিরোধী কনসার্ট সব জায়গায় এখনও মাতিয়ে তোলেন গুরু। গুরুর প্রতি ভক্তদেরও ভালবাসার কমতি নেই এতটুকু। গুরুও তাই সবাইকে আদর করে ডাকেন দুষ্টু ছেলের দল, কখনো ছুড়ে দেন ফ্লাইং কিস কিংবা গানের ফাঁকে উতসাহ দিয়ে বলেন, "তোমরা আমার চেয়েও ভাল গাইছ!!!" রাতের কনসার্টে মুঠোফোনের আলোকে তারা বানিয়ে ভক্তরাও তাই গলা মেলান, "তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার!"
পদ্ম পাতার জল।"
২০০৫ সালে হঠাত করেই ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী প্রিতমের সাথে মিলে প্লেব্যাক করেন বলিউডের 'গ্যাংস্টার' নামক একটি চলচ্চিত্রে। তার গাওয়া "ভিগি ভিগি' গানটি প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় জুড়ে জায়গা করে নেয় টপচার্টে। ২০০৬ সালে কন্ঠ দেন 'ও লামহে' নামক চলচ্চিত্রে “চল চলে” গানটিতে। ২০০৭ সালে তিনি 'লাইফ ইন এ মেট্রো' চলচ্চিত্রে আবারও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুটি হল "রিশতে" এবং "আলবিদা"(রিপ্রাইস)।মাত্র কয়েকটি গান দিয়েই জয় করেন বলিউড।
এরপর কেটে গেল অনেকটা সময়। উন্মত্ত, পাগলাটে সেই জেমস এখন অনেকটাই শান্ত। নিজের মত থাকেন। তবে কনসার্ট চলছে অবিরাম। পহেলা বৈশাখ, নিউ ইয়ার কিংবা মাদক বিরোধী কনসার্ট সব জায়গায় এখনও মাতিয়ে তোলেন গুরু। গুরুর প্রতি ভক্তদেরও ভালবাসার কমতি নেই এতটুকু। গুরুও তাই সবাইকে আদর করে ডাকেন দুষ্টু ছেলের দল, কখনো ছুড়ে দেন ফ্লাইং কিস কিংবা গানের ফাঁকে উতসাহ দিয়ে বলেন, "তোমরা আমার চেয়েও ভাল গাইছ!!!" রাতের কনসার্টে মুঠোফোনের আলোকে তারা বানিয়ে ভক্তরাও তাই গলা মেলান, "তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার!"
Comments
Post a Comment