The Scariest Serial Killers!

আমাদের মত তারাও স্বাভাবিক আইডেন্টিটি নিয়েই চলে । কিন্তু তাদের মুখোশের আড়ালে থাকে এক ভয়াবহ চরিত্র । তাদের সেই ভয়ানক সত্ত্বার গল্প ইতিহাস জুড়ে বিদ্যমান । বলছি সিরিয়াল কিলার দের কথা । যাদের কে এই প্রোফাইলে রাখা হয় তারা তিন এর বেশি হত্যাকাণ্ড সম্পাদন করেন । এদের কিছু প্যাটার্ন থাকে , টাইম পিরিয়ড থাকে । বিখ্যাত টিভি সিরিজ ‘Dexter’ এ কয়েকজন সিরিয়াল কিলার এর প্যাটার্ন সম্পর্কে দেখানো হয় । ইন্টারেস্ট থাকলে দেখার সাজেশন রইল ।
 বলছি ইতিহাসের কয়েকজন ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার এর কাহিনী ।

১) Ted Bundy
উনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক সিরিয়াল কিলার বলে চিহ্নিত করা হয় । তরুণীদের কে কিডন্যাপ করে হত্যা করা ছিল তার নেশা । যতজন কে হত্যা করেছেন সবাই সেক্সুয়াল এসল্ট এর স্বীকার হয়েছে,কিন্তু  হত্যার পরে ! উনি অধিকাংশ সময় ডিজএবল্ড হিসেবে রুপ ধারন করতেন ,আর বাকি সময়ে ডিরেক্ট ভিকটিম এর ঘরে ব্রেক করে সরাসরি হত্যা করতেন , তারপর অত্যাচার-রেপ, শেষে ‘ট্রফি’ কালেকশন । আর সবার মত উনিও ‘ট্রফি’ হিসেবে ভিকটিম এর দেহ থেকে ‘মাথা’ খুলে নিজের সংগ্রহে রাখতেন । ১৯৭৪-৭৮ সালের মদ্ধে আমেরিকার ৭ টি স্টেট এ উনার কনফেসন অনুযায়ী ৩০ জন নারী এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছেন । যদিও প্রকৃত সংখ্যা অজানাই রয়ে গেছে । ১৯৭৯ সালে উনাকে এরেস্ট করা হয় এবং ইলেকট্রিক চেয়ারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

২) John Wayne Gacy
 উনি ‘কিলার ক্লাউন’ নামে পরিচিত । সেক্স অফেন্ডার । টার্গেট করতেন মেইল প্রস্টিটিউট , তরুণ বালক দের কে ।প্রাথমিক ভাবে এরেস্ট এর সময় ও তাকে দুই জন টিনএজ কে সেক্সুয়াল এসল্ট করতে দেখা যায় । ১০ বছরের জেল হয় । কিন্তু অসাধারণ ব্যাবহার এর জন্য মাত্র ১৮ মাস পরেই মুক্তি পান । তারপর স্বাভাবিক জীবন শুরু করেন । বিয়ে করেন , বাবা হয়েছেন ।ভালো বিজনেস ম্যান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন । চিলড্রেন পার্টি তে ভলান্টিয়ার হিসেবেও রুপ ধারণ করতেন । কি মনে হচ্ছে ? সিরিয়াল কিলার এর সাথে যাচ্ছে না ঠিক ? পরের গল্প টা মারাত্মক । ৬ বছরে ৩৩ জন তরুন কে হত্যা করেন এবং তাদের কে নিজের বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখতেন । এক সময় তিনি জায়গা সঙ্কটে ভুগেছেন ! ফাইনালি এরেস্ট হওয়ার পর তার ঘরে অসংখ্য ‘বোনস’ পাওয়া যায় । ১৯৯৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

৩) Jeffrey Dahmer
উনি আমেরিকার আরেক নরপিশাচ । ১৩ বছরে ১৭ জন তরুণ বালক এবং পুরুষ কে হত্যা করেন । তার হত্যাকাণ্ডে কেনিবালিজম ছিল । মানে , নরমাংসভক্ষন প্রথা ! যাদের কে বাঁচিয়ে রাখতেন তাদের মাথার খুলিতে ড্রিল দিয়ে ফুটো করতেন , তাদের দেহের পার্টস আলাদা করতেন এবং শেষে ভক্ষণ করতেন ! মিরাক্কেল বলা যায় , একবার এক ভিকটিম পালিয়ে রাস্তায় এসে পুলিশ কে রিপোর্ট করার পরেই এই পিশাচ কে এরেস্ট করা হয় । ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর , জেলখানায় একজন কয়েদি তাকে বেধড়ক মেরে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যান এবং শেষে মারা যান।

৪) Gary Ridgway
‘গ্রিন রিভার কিলার’ নামে পরিচিত । প্রথম পাঁচ জন ভিকটিম এর লাশ গ্রিন রিভারে পাওয়া যায় , এভাবেই নিকনেম টি পান । ১৯৮০-৯০ এর মাঝে ওয়াশিংটন এ ৭১ জন নারীকে ইনি হত্যা করেন । নারী প্রস্টিটিউট দের কে টার্গেট করতেন । হত্যা করার পর মাটি তে পুঁতে রাখতেন এবং মাঝে মাঝে উনি মাটি খুঁড়ে লাশের সাথে সেক্সুয়াল কর্মকাণ্ড ঘটাতেন ! অনেক দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানো এই কিলার ২০০১ সালে এরেস্ট হন । ডেথ পেনাল্টি এড়াতে উনি সকল ভিকটিম এর লাশের লোকেশন প্রকাশ করার চুক্তি করেন । এই সিরিয়াল কিলার এখন ও জীবিত । জেলখানায় কখনই মুক্তি না পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়েই পার করছেন সময়।

৫) Henry Lee Lucas
‘Henry,portrait of a serial killer’ মুভিটি নির্মাণ করা হয় এই সিরিয়াল কিলার কে বেইস করে । ২০ বছরে টোটাল ৩৫০ জন কে হত্যা করেন হেনরি সাহেব ! যদিও উনি ৬০০ জন কে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন । নিজের মা কে হত্যার অভিযোগে তাকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছিল । কিন্তু মাঝ পথে মুক্তি পেয়ে যান । পরে ওটিস টুল নামে এক লোকের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেন , যে কিনা হেনরি সাহেবের ১০৮ টি ক্রাইমের পার্টনার ছিলেন । ২০০১ সালে জেলখানায় হেনরি ৬৬ বছর বয়সে ন্যাচারাল ভাবে মারা যান।

৭) Aileen Wuornos
খুব অল্প কয়েকজন মহিলা সিরিয়াল কিলার দের মাঝে ইনি একজন । এই মহিলা একজন প্রস্টিটিউট ছিল । ১৯৮৯-৯০ এর মাঝে ৭ জন পুরুষ কে হত্যা করেন । তার ১৫ বছরের একজন সন্তান ছিল । হত্যাকাণ্ড আর রোবারির জন্য তাকে অনেক বার ই জেল এ দেখা যায় । কনফেসন এ তিনি বলেন , সেক্স এর সময় যারা তাকে ক্ষতি করার চেষ্টা করত তাদেরকেই গুলি করতেন । ১৯৯১ সালে তাকে এরেস্ট করা হয় এবং ২০০২ সালে লিথাল ইনজেকশন এর মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেন । ‘মনস্টার’ মুভি তে এই মহিলা সিরিয়াল কিলার এর পোট্রেইট এর জন্য অভিনেত্রী Charlize Theron সেরা অভিনেত্রী একাডেমী এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।

৮) Richard Trenton Chase
‘The Vampire of Sacramento’ নামে পরিচিত ছিলেন রিচার্ড । ভিকটিম এর রক্ত পান এর জন্য বিখ্যাত ছিলেন । ১৯৭৭ এ নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়া তে এক মাসে ৬ জন কে হত্যা করেন । উনি ছোট পশু পাখি ধরে ব্লেন্ড করে মিল্কশেক হিসেবে খেতেন । এর পর তাকে মেনটাল হসপিটাল এ ট্রিটমেন্ট করানো হয় । রিলিজড হওয়ার পর আবার হত্যাকাণ্ড শুরু করেন । ১৯৭৯ সালে এক টি পুরো পরিবার কে হত্যার পর ধরা খান রিচার্ড । ১৯৮০ সালে জেলখানায় লিথাল ওভার ডোজ এর মাধ্যমে নিজেই মৃত্যুর স্বাদ নেন তিনি।
ইতিহাস জুড়েই আতংক হিসেবে ছিল,থাকবে-  এই সব সিরিয়াল কিলার রা । সবাই ত্রাস হয়ে ছিল যার যার সময়কালে । হরর ফিলিংস হচ্ছে ? কি ভাবছেন ? জানাবেন কিন্তু!


Comments

  1. একটার চেয়ে একটা বীভৎস.........।।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

মজার খেলা ডার্ট বোর্ড

হাই – লাইন ডিফেন্স ইন ফুটবল

সংখ্যা দিয়ে বন্ধুত্ব!!!