জর্ডান – একটি হারানো শহর ও পৃথিবীর নিম্নভূমি
কখনও কখনও, মানচিত্রের
নামটি কেবল গল্পের অংশ। জর্ডানের
ক্ষেত্রে তার নামটি তার ৪০০০ বছরের গল্পের এক অণু পরিমাণ অংশ মাত্র। ভৌগলিক
মানচিত্রে জর্ডানের নাম ১৯২১ সালে চিত্রায়িত হলেও এটি ছিল ব্রোঞ্জ সভ্যতার তিনটি প্রভাবশালী
সাম্রাজ্য অ্যামন, মোয়াব ও এডম নিয়ে এক সমৃদ্ধ রাজ্য, পরবর্তীতে যা রোমানসাম্রাজ্য ও অটোমান সাম্রাজ্যের উপর ও প্রভাব বিস্তার করেছিল। ১৯১৬ সালে প্রথমবিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমানদের বিরুদ্ধে গ্রেট আরব বিদ্রোহের পর, অটোমান সাম্রাজ্যটি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের
দ্বারা বিভক্ত হয়েছিল। ১৯২১ সালে তৎকালীন আমির আবদুল্লাহ বিন আল হুসাইন নবগঠিত
ট্রান্সজর্ডানের একজন ব্রিটিশ রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে। ১৯৪৬ সালে, জর্ডান একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র
হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত লাভ করে যা হ্যাশেমাইট কিংডম অফ ট্রান্সজর্ডান নামেও
পরিচিত। জর্ডানকে যদি আমরা বিংশ শতাব্দীর
প্রেক্ষাপটে দেখতে চাই তবে তার ৪০০০ বছরের নগরায়নকে অস্বীকার করতে হয়।
জর্ডান তার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, বন্ধুত্বপূর্ণ শহর এবং অনন্যসাধারণ মরুভূমি ল্যান্ডস্কেপ দ্বারা শত শত পর্যটককে হাতছানি দিয়ে ডেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
কখনও কখনও, মানচিত্রের নামটি কেবল গল্পের অংশ। জর্ডানের ক্ষেত্রে তার নামটি তার ৪০০০ বছরের গল্পের এক অণু পরিমাণ অংশ মাত্র। ভৌগলিক মানচিত্রে জর্ডানের নাম ১৯২১ সালে চিত্রায়িত হলেও এটি ছিল ব্রোঞ্জ সভ্যতার তিনটি প্রভাবশালী সাম্রাজ্য অ্যামন, মোয়াব ও এডম নিয়ে এক সমৃদ্ধ রাজ্য, পরবর্তীতে যা রোমানসাম্রাজ্য ও অটোমান সাম্রাজ্যের উপর ও প্রভাব বিস্তার করেছিল। ১৯১৬ সালে প্রথমবিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমানদের বিরুদ্ধে গ্রেট আরব বিদ্রোহের পর, অটোমান সাম্রাজ্যটি ব্রিটেন ও ফ্রান্সের দ্বারা বিভক্ত হয়েছিল। ১৯২১ সালে তৎকালীন আমির আবদুল্লাহ বিন আল হুসাইন নবগঠিত ট্রান্সজর্ডানের একজন ব্রিটিশ রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে। ১৯৪৬ সালে, জর্ডান একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত লাভ করে যা হ্যাশেমাইট কিংডম অফ ট্রান্সজর্ডান নামেও পরিচিত। জর্ডানকে যদি আমরা বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে দেখতে চাই তবে তার ৪০০০ বছরের নগরায়নকে অস্বীকার করতে হয়।
পেত্রা
পেত্রা জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিম
মরুভূমির একটি
বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এটি ছিল নাবাটিয়ানরাজ্যের রাজধানী। আল সিক নামে একটি সংকীর্ণ ক্যানিয়ন দ্বারা পেত্রায়
প্রবেশ করতে হয়, এখানকার
মূল আকর্ষণ হল গোলাপী বেলেপাথর এ নির্মিত ও নানান প্যাটার্নে খোদাইকৃত সমাধি এবং মন্দির , এ অপরূপ বৈশিষ্ঠের জন্য
শহরটির অপর নাম "রোজ
সিটি"। এর সবচেয়ে বিখ্যাত কাঠামোটি ৪৫ মিটার উচ্চ আল খাজেনাহ, এটি অরন্য ও গ্রীক-শৈলীতে
নির্মিত একটি মন্দির যা ‘ট্রেজারি’ নামে পরিচিত।
মৃত সাগর
মৃত সাগর ("লবণ সমুদ্র") হল পৃথিবীতে সর্বনিম্ন স্তর যা প্রায় ১৩০০ ফুট (৪০০ মিটার) সমুদ্র পৃষ্ঠের নীচে। এটি ৩৪ মাইল (৫৫ কিমি) দীর্ঘ এবং প্রস্থে ১১ মাইল (১৮ কিলোমিটার)। এই অনন্য সমুদ্র জর্ডান নদী দ্বারা সৃষ্ট। এতে কোন প্রবাহ নেই এবং বাষ্পীর্ণের হার উচ্চ হার (উচ্চ তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতা)। এটি বিপুল পরিমাণ কাঁচা রাসায়নিক বৃহৎ পরিমাণে উত্পাদন করে যা ঔষধ, কৃষি এবং শিল্পে ব্যবহারের জন্য সারা পৃথিবীতে নিষ্কাশন এবং রপ্তানি করা হয়। পৃথিবীর সর্বোচ্চ খনিজ পদার্থের ঘনত্বের কারণে দর্শনার্থীরা মৃত সাগরের জলে অনায়াসে ভাসতে পারে।
ওয়াদি
রুম
ওয়াদি রম দক্ষিণপশ্চিম জর্ডানের বেলেপাথর এবং গ্রানাইট শিলার মধ্যে দিয়ে কাটা একটি উপত্যকার। এটি জর্ডানে বৃহত্তম উপত্যকা। নাম রুম সম্ভবত আরবী 'আরামাইক' অর্থ 'উচ্চ' বা 'elevated' থেকে আসা।
রোমান
থিয়েটার
২ য় শতাব্দীতে মার্কাস অরেলিয়াসের রাজত্বকালে জর্ডানের আম্মানে রোমান থিয়েটার নির্মিত হয়েছিল। বিশাল এই থিয়েটারে প্রায় ৬০০০ মানুষ একসাথে বসতে পারতো। এটি পাহাড় কেটে তৈরী করা হয় এবং দর্শক এর দিকে সরাসরি সূর্যালোক ঠেকানোর জন্য আসন উত্তর দিকে নির্মাণ করা হয়। থিয়েটার তিনটি স্তরের উপর নির্মিত হয়েছিল – শাসকেরা একদম সম্মুখভাগে বা নিচেরদিকে, সামরিক বাহিনী মধ্যভাগে এবং সাধারণেরা পেছনভাগে বা উপরের দিকে। বিশেষ কাঠামোর কারণে মূল মঞ্চ হতে দূরে হওয়া সত্ত্বেও পেছন ভাগের দর্শকরা অভিনেতাদের স্পষ্ট শূনতে পেতেন
উম
কাইস
ঐতিহাসিকভাবে গাদরা নামে পরিচিত, উম কাইস জর্দান এর সবচেয়ে অনন্য গ্রীক রোমান ডেকাপোলিস সাইটগুলির একটি। উঁচু কেল্লাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭৮ মিটার উঁচুতে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। গ্রিক, রোমান, বাইজানটাইন এবং অটোমান স্থাপত্য এবং এই প্রাচীন শহরে নিদর্শন গুলো সমগ্র জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। উম কাইসের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে, গালিলির নীল সবুজ সাগর এবং সিরিয়ান পাহাড় দেখা যায়।
জেরাশ
রাজধানী আম্মানের ৫০ কিলোমিটার উত্তরে, জেরাশ হল প্রাচীন রোম নগর গারাসার ধ্বংসাবশেষ। সবুজ পাহাড় এবং
উপত্যকায় আচ্ছাদিত, এই
ধ্বংসাবশেষ দশটি প্রাচীন রোমান
শহরের মধ্যে সংরক্ষিত একটি। শীর্ষস্থানীয়
আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হ্যানডিয়ানের আর্কিটেকচার , দুটি অ্যাম্ফিথিয়েটার, আর্টেমিসের মন্দির, এবং
বিশাল ডিম্বাকার আদালত, যা
উচু কলাম দ্বারা প্রায় সম্পূর্ণরূপে আবদ্ধ।
মাদাবা
মাদাবা মনোরম ও প্রশান্তিদায়ক শহর যা বাইজেন্টাইন মোজাইক এর জন্য সুপরিচিত। শহরটিতে খ্রিস্টান ও মুসলমান উভয়ের মধ্যে সহনশীল সম্পর্কবিদ্যমান। এখান থেকে সহজেই জর্ডানের সেরা জায়গাগুলো এবং পবিত্র স্থানগুলো দর্শন করা যায়।
Comments
Post a Comment