The Bermuda Triangle - unsolved mystery!
• অনেক রকমের মিথ প্রচলিত আছে এই এরিয়া নিয়ে, আছে অনেক অমীমাংসিত রহস্য। রহস্যময় এই এরিয়া তে ঘটেছে ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি। বলছি বিখ্যাত 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ' এর কথা। অনেকেই 'ডেভিল ট্রায়াঙ্গল ' বলেও একে আখ্যায়িত করেন।
• বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আটলান্টিক মহাসাগর এর বিস্তরণ, যা ফ্লোরিডা থেকে শুরু হয়ে আইল্যান্ড অফ বারমুডা, পোয়ের্টো রিকো হয়ে আবার ফ্লোরিডা পর্যন্ত একটি লাইন দিয়ে কাভার করা।
ক্রিস্টফার কলম্বাস সর্বপ্রথম তার এক জার্নাল এ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর কথা প্রকাশ করেন। তিনি লিখেন, জলযান এর কম্পাস এই এরিয়া তে অস্বাভাবিক রিডিং দেয়। ১৯৪২ এর ৮ ই অক্টোবর তিনি এই ব্যাপার টি লক্ষ্য করেন। তিনি আকাশে ফায়ার বল দেখার কথাও জার্নালটি তে বলেছেন। ' বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ' এই টার্ম টি প্রথম ইউজ করেন ভিঞ্চেন্ট এইচ গাডডিস 'Argosy ' ম্যাগাজিন এ, ১৯৬৪ সালে।
• অনেক স্ট্রেঞ্জ ফ্যাক্ট আছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর। এর মদ্ধে সবচেয়ে অবাক করে দেয় যে তথ্য তা হল, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এমন এক স্থান, যেখানে কম্পাস রিডিং ম্যাগনেটিক নর্থ নির্দেশ করেনা, একচুয়াল নর্থ এর দিকে বিক্ষেপ দেয়, যা অতি বিরল। এই জন্য ই এয়ারক্রাফট, ওয়াটারক্রাফট গুলো বিভ্রান্ত হয়ে পরে। ফলে ঘটে যায় নানা রকম দুর্ঘটনা। খুব ই বিখ্যাত কয়েক টি ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা তুলে ধরা হল :
• USS Cyclops Sinking
• ১৯১০ সালে এই শিপটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এটি US NAVY হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এ এটি হারিয়ে যায় ১৯১৮ সালে। Bahia, Salvador থেকে এই শিপটি ফিরছিলো Baltimore, Maryland এর দিকে। কিন্তু আর পৌঁছেনি। কোন ধরনের ধ্বংসাবশেস এর চিহ্ন না রেখেই নিখোঁজ হয় বিখ্যাত USS Cyclops. নাবিকদল আর যাত্রী মিলে সর্বমোট ৩০৬ জন ছিল এই শিপে।
• SS MARINE SULPHUR QUEEN Vanishes
• ১৯৬৩ সালে ফ্লোরিডার সাউথইস্ট কোষ্ট অঞ্চল থেকে এই ট্যাঙ্কার শিপটি নিখোঁজ হয়ে যায়। যাত্রী আর নাবিকদল মিলে ৩৬ জন ছিল। যদিওবা এটি অয়েল ট্যাঙ্কার ছিল, কিন্তু ওইদিন এটি মোল্টেন সালফার বহন করছিল। গবেষকরা মনে করেন, এই কনভার্সনের জন্য শিপ টির সেন্টার অফ গ্রাভিটি অনেক পরিবর্তিত হয়ে যায়, ফলে এটি যে কোন সময়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারতো। তাই এই কেইস এ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কে ব্লেম করতে চান না অনেক গবেষক ই।
• The tale of Flight 19
১৯৪৫ এর ৫ ডিসেম্বর five avenger torpedo bombers ফ্লোরিডা নেভাল এয়ার স্টেশন থেকে আকাশ এ উড়াল দেয় বিকেল ২:১০ এর দিকে। রেগুলার practice mission ছিল। কমান্ডার ছিলেন Lt.Charles Taylor. উড়াল দেয়ার দেড় ঘণ্টা পর বেইস এ থাকা Lt.Cox টেইলর এর কাছ থেকে এক টি রেডিও ট্রান্সমিশন সিগনাল পান। টেইলর বলছিলেন, তার কম্পাস কাজ করছিলো না। Lt.cox তাকে নর্থ মায়ামির দিকে যেতে বলেন। যত নর্থ এ যাচ্ছিল, আসলে তারা সমুদ্রের দিকেই এগুচ্ছিলেন। ৪.৪৫ এর দিকে বেইস এর লোকরা ধারণা করেই নিয়েছেন, টেইলর দের আর পাওয়া যাবেনা। ফ্লাইট নাইনটিন থেকে লাস্ট সিগনাল পাওয়া যায় সন্ধ্যা ৭.০৪ এ। তারপর Two Martin Mariners সার্চ জোন এ মিলিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দ্বিতীয়টি আর আসেনি। ৫টি এভেঞ্জার এর সাথে এটিও নিখোঁজ হয়। একজন স্টেটমেন্ট দিয়েছিল, সেকেন্ড ম্যারিনার টি এক সময় বিষ্ফোরিত হয়েছিল সমুদ্রেই। খারাপ আবহাওয়ার জন্য এর রিকভার করা যায় নি। এভাবেই ফ্লাইট নাইনটিন হয়ে থাকে এক অমীমাংসিত রহস্য।
আমেরিকার কলোরোডা ইউনিভারসিটির এক দল গবেষক সাম্প্রতিক এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল দিয়ে আশা জাগানিয়া স্টেটমেন্ট দিয়েছেন।
তাদের ধারনা, ওই অঞ্চলের মেঘের কণা গুলো হচ্ছে হেক্সাগোনাল ক্লাউড, যেগুলো এয়ার বোম্ব হিসেবে কাজ করে এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৭০ মাইল গমন করে খুব সহজে। একই সময়ে ৪৫ ফিট উচ্চতার ওয়েভ ক্রিয়েট হয়। এই জন্য ওই অঞ্চলে শিপ, এয়ারক্রাফট গুলো টিকে থাকতে না পেরে বিষ্ফোরিত হয়।
• The Devils Triangle for a reason!
অজানা কিছু জানলাম 😊
ReplyDelete