একজন মিলারের গল্প
"ব্রাজিলিয়ানরা খায়,ঘুমায় এবং ফুটবল পান করে।তারা ফুটবল এই বেঁচে থাকে”-কথাটা
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের।কথাটা কতটা বাস্তব তা ব্রাজিল ফুটবল এর ইতিহাস ঘাঁটলেই
বোঝা যায়।সারা বিশ্ব যখন ফুটবল এর দিকে তাকিয়ে থাকে তখন ফুটবল তাকিয়ে থাকে ব্রাজিলের
দিকে।বরাবরই ফুটবল এর সেরা রূপকথা গুলো নিয়ে হাজির হয় তারা।কিন্তু এই রূপকথার শুরুটা
কিভাবে হল??
সময়টা ১৮৭০। সাও পাওল নগরীতে হাজির হয় ৩০০০ অভিবাসী পরিবার। তারা আসে
মূলত রেলওয়ের একটা প্রোজেক্ট এ।তাদেরই একজন ছিলেন জন মিলার।১৮৮৪ সালে মিলার তার ১০ বছরের ছেলে চার্লস উইলিয়াম মিলারকে ইংল্যান্ড এর সাউথহাম্পটন এ পাঠান ভাল শিক্ষার জন্য। চার্লস দ্রুতই ইংল্যান্ড এর জনপ্রিয় খেলা ফুটবল আয়ত্ত করে।

বালক বয়সের মিলার
উইংগার হিসেবে তার সুনাম দ্রুতই ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে আসেন।দেশে ফেরার সময় তিনি ফুটবল এর কিছু সরঞ্জামও সাথে করে নিয়ে আসেন। তবে ব্রিটিশ ফুটবল এর সাথে তার সখ্যতা রয়েই যায়। তিনি নিজে যেমন ইউরোপ এর বিভিন্ন ক্লাব এ খেলেন তেমনি ইউরোপ এর বিভিন্ন ক্লাবও তার আমন্ত্রণে ব্রাজিলে খেলতে আসে।সাও পাওল অ্যাথলেটিক ক্লাব মূলত তারই হাতে গড়া। তার সমসাময়িক অন্যান্য খেলোয়াড়দের চাইতে তিনি ছিলেন অনেকটাই এগিয়ে।“চেলে্রিয়া” ছিল তার দৃষ্টিনন্দন কৌশলের অন্যতম আকর্ষণ।

সাও পাওলোতে চার্লস মিলার( সামনে থেকে মাঝে)
আজ ব্রাজিল ফুটবল হয়ত কোটি কোটি মানুষের প্রাণে শিহরণ জাগায় কিন্তু যে মানুষটি ফুটবলকে ব্রাজিলের বুকে পোঁছে দিয়েছিলেন তিনি একজন চার্লস উইলিয়াম মিলার।ব্রাজিল ফুটবল এ তার এই অবদানের জন্য এক শতাব্দি পরেও সমিহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আছেন ফুটবল এর এই মহান পথিকৃৎ।
আজ ব্রাজিল ফুটবল হয়ত কোটি কোটি মানুষের প্রাণে শিহরণ জাগায় কিন্তু যে মানুষটি ফুটবলকে ব্রাজিলের বুকে পোঁছে দিয়েছিলেন তিনি একজন চার্লস উইলিয়াম মিলার।ব্রাজিল ফুটবল এ তার এই অবদানের জন্য এক শতাব্দি পরেও সমিহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আছেন ফুটবল এর এই মহান পথিকৃৎ।
Comments
Post a Comment