ফুটবল ফরমেশান (৪-৩-৩) ঃ পর্ব - ২
ফুটবল ফরমেশান  নিয়ে  ধারাবাহিক  আলোচনার 
দ্বিতীয়  পর্বে  থাকছে  ভিন্ন  আরেকটি 
ফুটবল  ফরমেশান ।  তা  হল  ৪ – ৩ – ৩ ফরমেশান ।
 এই  ফরমেশানে  চারজন  ডিফেন্ডার  ( দুইজন 
সেন্টারব্যাক ও  দুইজন  ফুলব্যাক ) 
,  তিনজন  মিডফিল্ডার 
ও  তিনজন  ফরোয়ার্ড 
থাকে । তিনজন  মিডফিল্ডারদের  একজন  থাকবে  ডিফেন্সিভ 
মিডফিল্ডার  এবং  বাকি  দুইজন  “ বক্স 
টু  বক্স “ মিডফিল্ডার ( যারা একই   সাথে  ডিফেন্স  ও  অ্যাটাকে  সমানভাবে 
অবদান  রাখবে ।  এরা  যেমন  প্রতিপক্ষের  অ্যাটাককে  আটকাবে  তেমনি  নিজেরাও  স্কোর  করার  চেষ্টা  করবে। ) ।
তিনজন  ফরোয়ার্ডের  দুইজন  খেলবে  উইঙ্গের  ভূমিকায়  এবং  বাকিজন  ফলস নাইন  হিসেবে । ডান  ও  বামপাশে  খেলা  দুইজন  ফরোয়ার্ড  তাদের  গতি  ও  স্কিল  ব্যাবহার  করে  ডিফেন্স  ভাঙ্গার  চেষ্টা  করে । তবে  এই  ফরমেশানের  মূল  দিক  হল  তার  মিডফিল্ড । বল  কন্ট্রল , বুদ্ধিদীপ্ত  পাসিং , ফরোয়ার্ডদের  বল  যোগান  দেয়ার  পাশাপাশি  প্রতিপক্ষের  খেলা  নষ্ট  করার  দিকেও  মিডফিল্ডারদের  নজর  রাখতে হয় । 
সুবিধাঃ
অ্যাটাকের সময় তিন ফরোয়ার্ডের পাশাপাশি মিডফিল্ড ও সেন্টারব্যাকদের সুযোগ থাকে স্কোর করার ।
দুইজন উইঙ্গার খেলায় প্রতিপক্ষের ফুলব্যাকদের উপরে উঠে আক্রমণে সহযোগিতা করার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় ।
মিডফিল্ডাররা ডিফেন্সকে কাভার দেয়ায় ফুলব্যাকদের পক্ষে উপরে উঠে ক্রস ও লং বল দেয়ার সুযোগ থাকে ।
অসুবিধাঃ
এই ফরমেশান সফল করতে দুই ফুলব্যাক ও দুই উইঙ্গারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ । যেহেতু ফুলব্যাকদের বারবার ওঠানামা করতে হয় তাই তাই তাদের পুরো ৯০ মিনিট খেলার মত স্টামিনা থাকা খুব জুরুরি ।
ভালোমানের সিডিএমের অভাবে এই ফরমেশানটা পুরোপুরি ব্যার্থ হবে । কারণ দক্ষ সিডিএম যেমন অন্য মিডফিল্ডারদের স্বাচ্ছ্যন্দে আক্রমণে যাওয়ার সু্যোগ দিবে তেমনি সেন্টারব্যাকদেরও নির্ভার রাখবে ।

 
 
Comments
Post a Comment