সাত রঙে চুমুক!!!

চা গরম্মম্ম…………………চাআআআআ………………………
কী??পরিচিত শোনাচ্ছে?? হ্যাঁ , ঠিকই ধরেছেন। রাস্তা-ঘাট, পার্ক, অলি-গলিতে হাঁটার সময় প্রায়ই কানে ভেসে আসে গরম চায়ের লোভনীয় প্রস্তাব । কিন্তু সময়ের অভাবে হয়ত চুমুক দেয়া হয়ে উঠে না।
এই দেশে চায়ের ইতিহাস বহু পুরোনো। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন উপমহাদেশের দখল নেয় তখন থেকেই এখানে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়।তখনকার রেলওয়ে ষ্টেশনগুলোতে চা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ধীরে ধীরে বাঙালি অনেক ধরণের চায়ের সাথেই পরিচিত হয়। তারপর তারা নিজেরাই উদ্ভাবন করে এক নতুন চা । সাত রঙা চা।
সিলেটের শ্রীমঙ্গলের রাস্তার ধারের এক চা দোকান। নাম নিলকন্ঠ। ওইখানে কাজ করতেন রমেশ রাম গড়। সাত রঙা চার আবিষ্কারক তিনিই।সাত রঙা চা ঠান্ডা,গরম,বিভিন্ন রং ও বিভিন্ন স্বাদের এক অপূর্ব সমন্বয় । একটি কাপে সাজানো থাকে সাতটি স্তর। অনেকটা রংধনুর মত। এক একটি চুমুক আপনাকে দেবে এক একটি স্বাদ। একেবারে কড়া মিষ্টি থেকে মসলার ঝাঁঝ সবই পাবেন এর মধ্যে।
প্রণালীঃ
- প্রথমে ১ টেবল চামচ চিনির সাথে ২ টেবল চামচ পানি মিশিয়ে সিরা তৈরি করা হয়। পরিমাণমতো পানি ও চাপাতা মিশিয়ে লিকার তৈরি করা হয়।
- ১ টেবল চামচ লিকার ও ১ টেবল চামচ শিরা মিশিয়ে রাখুন।
- ২ টেবল চামচ কনডেন্স মিল্ক ও ১ টেবল চামচ লিকার মিশিয়ে নেয়া হয়।
- একটি কাপে প্রথমে শিরা ঢেলে নেয়া হয়। তার ২০ সেকান্ড দেয়া হয় শিরা মেশানো লিকার।
- তার ৩০ সেকেন্ড পর দেয়া হয় কনডেন্স মিল্ক ও লিকারের মিশ্রণ।
- তার ১ মিনিট পর বাকি লিকার টুকো গরম করে কাপের ধার ঘেঁষে আস্তে আস্তে ঢালতে হবে। এভাবেই তৈরি হয় সাত রঙা চা ।
তো............ সাত রঙে চুমুকটা হয়ে যাক!!!!!
Comments
Post a Comment