ডিসিসন রিভিউ সিস্টেম ( DRS )

ডিসিসন  রিভিউ  সিস্টেম  ক্রিকেট  মাঠে  অনফিল্ড  আম্পায়ারের  সিদ্ধান্ত  পুনর্বিবেচনা  করার  নতুন  সংযোজন । ক্রিকেট মাঠে মাঝে মাঝে আম্পায়ারদের এমন কিছু সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত নিতে হয় যা খালি চোখে নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু এই ধরণের বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলোর  খেলার  ফলাফলে  থাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা । তাই খেলায় স্বচ্ছতা আনতে আই.সি.সি আশ্রয়  নেয়  প্রযুক্তিনির্ভর  এই  পদ্ধতির ।




২০০৮ সালে  ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার  একটি  ম্যাচে  ডি.আর.এস সিস্টেম প্রথম পরীক্ষা করা হয় । তবে অফিসিয়ালি এই পদ্ধতি চালু হয় ২০০৯  সালে  ডানেডিনে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের  মধ্যকার একটি টেস্ট  ম্যাচে । ২০১১ সালে ইংল্যান্ড এর অস্ট্রেলিয়া সফরে এক দিনের  ম্যাচেও   অফিসিয়ালি এই পদ্ধতি চালু হয় । প্রথমে এই প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হলেও পরে সিদ্ধান্ত হয় উভয় দলের সম্মতিসাপেক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে  এই  পদ্ধতি ব্যবহার  হবে । ২০১৬ সালে আই.সি.সি তাদের এল.বি.ডব্লিউর নীতিতে সংশোধন করে এবং এই সংশোধিত নিয়মটি প্রথম প্রয়োগ করা হয় একই বছর আয়ারল্যান্ড ও  সাউথ  আফ্রিকার মধ্যকার  একটি ম্যাচে । 





ডি.আর.এস সিস্টেমে প্রধানত তিনটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় । এগুলো হল – 
হক – আই ঃএর সাহায্যে বল এর গতিপথ যাচাই করা হয়। এর পুরো কাজটাকে  দুইটি অংশে ভাগ করা যায় । ১) বল ব্যাটসম্যান এর প্যাডে আঘাত আনার আগে ব্যাটে স্পর্শ করেছে কিনা এবং ২) বলটি স্টাম্পে আঘাত আনত কিনা । 
আল্ট্রা – এডজ ঃ বল যখন ব্যাটসম্যান এর প্যাডে আঘাত করে তখন এই প্রযুক্তিটি পুরো দৃশ্যকে চারটি অংশে ভাগ করে । এর মাধ্যমে ঘটনাটা যাচাই করা আরো সহজ হয় । এছাড়াও এটি শব্দের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে বলটি ব্যাট বা কাপড়ে লেগেছে কিনা । 
হট – স্পট ঃ ইনফ্রা-রেড ছবির মাধ্যমে এই প্রযুক্তি যাচাই করে বলটি  ব্যাটে আঘাত করেছে কিনা । 


টেস্ট ক্রিকেটে প্রতি দলের জন্য প্রতি ৮০ ওভারে দুইটি রিভিউ বরাদ্দ থাকে। একদিনের ম্যাচে প্রতি ইনিংসে প্রতি দলের জন্য একটি  করে রিভিউ বরাদ্দ থাকে । ফিল্ডিং দল নট আউটের এবং ব্যাটিং দল আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবে । ফিল্ডিং দলের ক্যাপ্টেন অথবা ব্যাটসম্যান হাতকে “T” এর মত করে ইশারা দেবে যদি তারা রিভিউ নিতে চায় । তখন মেইন আম্পায়ার মাইক্রফোনে থার্ড আম্পায়ারকে জানাবে সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করার জন্য । থার্ড আম্পায়ার  তখন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয় সিদ্ধান্তটি সঠিক নাকি ভুল । এরপর থার্ড  আম্পায়ার মাইক্রফোনে মেইন  আম্পায়ারকে সঠিক সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করার জন্য জানিয়ে দেয়। কোন দল যদি সঠিক রিভিউ নিতে সক্ষম হয় তবে তার রিভিউটি অক্ষুণ্ণ থাকে । আর ভুল রিভিউ নিলে তা নষ্ট হয়েছে বলে বিবেচিত হয়।  




Comments

Popular posts from this blog

মজার খেলা ডার্ট বোর্ড

হাই – লাইন ডিফেন্স ইন ফুটবল

সংখ্যা দিয়ে বন্ধুত্ব!!!