ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন ( D.L.S ) মেথোড




বৃষ্টি  বা  দুর্যোগপূর্ণ  আবহাওয়া  যাতে  খেলার  ফলাফলে  কোনো  ভূমিকা  রাখতে না পারে এজন্য  আইসিসি  ক্রিকেটের  স্বল্প  দৈর্ঘ্যের ম্যাচে  ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি  প্রবর্তন করে বৃষ্টিবিগ্নিত ম্যাচে পরিবর্তিত  লক্ষ্য কত হতে পারে তা নির্ধারণের জন্য এই পদ্ধতি সবচাইতে গ্রহণযোগ্য ডি.এল মেথডটি আবিষ্কার করেন দুইজন ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ টনি লুইস তাদের বিদায়ের পর মেথোডটি তত্ত্বাবধান করেন অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন একারণে ২০১৪ সালে এই পদ্ধতিটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন ( ডি.এল.এস ) মেথোড। এই পদ্ধতিটি প্রথম সফল্ভাবে পরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ সালে।


এই মেথোডটি ব্যাবহার করে যখন কোন লক্ষ্য পুননির্ধারিত করা হয় তখন মূলত দুইটি জিনিস বিবেচনা করা হয় - দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের কয়টি উইকেট হাতে রয়েছে এবং কত ওভারের খেলা অবশিষ্ট রয়েছে  

ডিএল মেথড অনুযায়ী কোনো ওয়ানডে ম্যাচের ফল তখনই ঘোষিত হবে যখন উভয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা হবে
যদি ম্যাচের আগেই বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচ ঘোষণা করা হয় এবং উভয় পক্ষকেই রিডিউসড ওভার খেলতে দেয়া হয় এবং ম্যাচের মধ্যে আর কোনো ওভার কাটা না লাগে, সেক্ষেত্রে ডিএল মেথড প্রযোজ্য হবেনা। কেননা এক্ষেত্রে ইনিংস শুরুর আগে সবারই রান শুন্য এবং উইকেটের ঘরেও শুন্য এবং প্রত্যেকেই জানে রিডিউসড ওভারের কথা।

যদি প্রথম ইনিংসে কোনো বিঘ্ন ঘটে, যাতে প্রথম ইনিংস শুরুর পরে সেটাকে রিডিউস করা হয়, কিন্তু সেই রিডিউসড ওভারের সমান ওভারই দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে দেয়া হয় তখন প্রথম ইনিংস শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের টার্গেট পুনরায় সেট করা হয়। এটা হাতে কত ওভার ছিল, কত রান হয়েছে আর কত উইকেট ছিল এটার উপর ভিত্তি করে করা হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে টার্গেট বাড়ানো হয় দ্বিতীয় ইনিংসে, কেননা প্রথম ইনিংসের কিছুটা অংশ জুড়ে ব্যাটিং দল ভেবেছিল তাদের হাতে আরও ওভার আছে। সেক্ষেত্রে আগে জানলে তারা আরও দ্রুত রান নেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটিং করতে পারতো। সেই রানটা ব্যালান্স করে দেয়া হয় টার্গেট পুনর্নির্ধারণ করে বাড়িয়ে।


যদি দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো বিঘ্ন ঘটে এবং এর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ওভার সংখ্যা কমাতে হয় তাহলে এই পদ্ধতিটি দুটি দলের আপেক্ষিক রান-স্কোরিং রিসোর্স অনুযায়ী লক্ষ্যটি স্থাপন করে। বিভিন্ন ওভার অবশিষ্ট উইকেটের উপর ভিত্তি করে একটি চার্ট তৈরি করা আছে। 
ডিএল মেথডটি প্রয়োগ করার জন্য আপনাকে বিবেচনা করতে হবেঃ

. ইনিংসের শুরুতে রিসোর্স পার্সেন্টেজ কত  ছিল

. বিরতির ফলে কতটুকু রিসোর্স নষ্ট হয়েছে

. কতটুকু  রিসোর্স অবশিষ্ট আছে।



এখন, পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স যদি প্রথমে ব্যাট করা দলের থেকে কম হয়, তাহলে দুই দলের বাকি থাকা রিসোর্সের রেশিও করতে হবে। এরপর পরে ব্যাট করা দলের টার্গেট হবে প্রথমে ব্যাট করা দলের স্কোর কে সেই রেশিও দিয়ে ভাগ করে।


যদি পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স প্রথমে ব্যাট করা দলের রিসোর্সের থেকে বেশি হয়, তাহলে ১ম দলের রিসোর্স কে ২য় দলের রিসোর্স থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরপর এটাকে ২২৫ এর পার্সেন্টেজ বানাতে হবে (আইসিসি নির্ধারিত ওয়ানডের গড় স্কোর) এরপর সেটাকে প্রথমে ব্যাট করা দলের রানের সাথে যোগ করে পরে ব্যাট করা দলকে টার্গেট দিতে হবে।




প্রয়োজনীয় লিঙ্কসমূহ ঃ

 এর সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট দিয়ে আপনি লক্ষ্য কত হবে তা জানতে পারবেন । 
অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপটির সাহায্য নিতে পারেন । 
DL resource table
ডি.এল মেথোডের চার্টটি আপনি এখান থেকে পাবেন।



বিষয়টি নিয়ে আরো ভালোভাবে জানতে আপনারা নিচের লিঙ্কগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। https://en.wikipedia.org/wiki/Duckworth%E2%80%93Lewis_method


Comments

Popular posts from this blog

মজার খেলা ডার্ট বোর্ড

হাই – লাইন ডিফেন্স ইন ফুটবল

সংখ্যা দিয়ে বন্ধুত্ব!!!